• ঢাকা

  •  শুক্রবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৪

অপরাধ

পিরোজপুরে সঙ্গী নিয়ে ভাগ্নিকে ধর্ষণ করলো মামা 

বিশেষ সংবাদদাতা

 প্রকাশিত: ০৯:০৮, ১৭ জুন ২০২০

পিরোজপুরে সঙ্গী নিয়ে ভাগ্নিকে ধর্ষণ করলো মামা 

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মামার বাড়ীতে বেড়াতে এসে তার এক মামাও ও অন্য একজন কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৭ বছর বয়সি এক কিশোরী। পুলিশ দুইদিন পর সোমবার (১৫ জুন) ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় হেফাজতে রেখেছে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত দুই ধর্ষক।

স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয়রা জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটি পরিবারের সাথে ভারতে থাকে। কয়েক মাস পূর্বে সে ভারত থেকে বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার আমতলা গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এরপর তার মা আবার ভারতে চলে গেলে সে বাড়ীতে থাকেন। গত সপ্তাহে উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের কবির হোসেনের ভাগ্নি কিশোরী শারমিন (১৭) মামা বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। দুইদিন পর তার মামার সাথে পারিবারিক কলহের কারনে তার মামা বাড়ী থেকে নামিয়ে দেন। 

তার মামারা তাকে আশ্রয় না দেওয়ায় কিশোরী পার্শ্ববর্তী খালাতো মামা বালিপাড়া গ্রামের সাত ঘরের হাফেজ আবুল বাশারের ছেলে জাহিদ হোসেন (৩০) এর বাড়ীতে তাকে আশ্রয় দেয় এবং এতদিন সেখানেই ছিল মেয়েটি। 

ওই কিশোরী ঢাকা তার অন্য মামার বাসায় যাবে বলে শনিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় বালিপাড়া বাজারে বাাসের টিকিট কাটতে আসলে তার খালাত মামা জাহিদ বাজারের এক ব্যবসায়ী মনিরকে নিয়ে রাতে উত্তর বালিপাড়া গ্রামের কথিত এক নেতার কাছে জোর করে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে খালাত মামা জাহিদের সহায়তায়, দোকানদার মনির মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষক মামা জাহিদ ওই রাতেই আবার কিশোরীকে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়।

ধর্ষিতা কিশোরী জানান, আমাকে বালিপাড়া থেকে জোর করে নিয়ে আমার মামা জাহিদ ও মনির মিলে ধর্ষন করেন। আমি অজ্ঞান হয়ে কিছুক্ষন পড়ে থাকি, সুস্থ হলে আবারও জাহিদ মামা তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমার আত্মীয়স্বজনের কাছে বললেও তারা কোন সমাধান দেয়নি।

বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হলে সোমবার ইন্দুরকানী থানা পুলিশ কিশোরীকে তার খালাতো মামা জাহিদের বাড়ী থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

কিশোরীকে বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে। কিশোরীর বাবা-মা ভারতে থাকে। সে বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার আমতলী গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে।

ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবীবুর রহমান জানান, 'ভারত থেকে আসা ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীকে তার খালাতো মামা জাহিদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিশোরীর কোন দায়িত্বশীল অভিভাবক না থাকায় কিশোরী (শারমিন) বাদী হয়ে ধর্ষণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। তবে ঘটনাস্থল আরেক থানার আওতায় হওয়ায়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।'

জুন ১৭, ২০২০

মন্তব্য করুন: