• ঢাকা

  •  শুক্রবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৪

অপরাধ

ঘুরতে নিয়ে প্রেমিকাকে লঞ্চের কেবিনে খুন

বিশেষ প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: ১২:২১, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঘুরতে নিয়ে প্রেমিকাকে লঞ্চের কেবিনে খুন

ঘুরতে নিয়ে প্রেমিকাকে লঞ্চের কেবিনে খুনের কথা স্বীকার করেছে পরকীয়া প্রেমিক। গত ১৩ সেপ্টেম্বর পারাবত-১১ লঞ্চের কেবিনে জান্নাতুল ফেরদৌস লাবনীকে (২৯) হত্যার ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক মনিরুজ্জামান চৌধুরীকে (৩৪) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মনিরুজ্জামান চৌধুরী পুলিশকে বলেন, লাবনীর সঙ্গে ২০১৮ সালে তার পরিচয় হয়। লাবনী বিবাহিত ছিলেন। এরপর তাদের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।

কয়েকদিন আগে লাবনী লঞ্চে বরিশাল ঘুরতে যাওয়ার বায়না ধরে। রবিবার ঢাকা থেকে একসঙ্গে বরিশাল যাওয়ার জন্য পারাবত-১১ লঞ্চে ওঠেন তারা। লঞ্চের কেবিনে লাবনীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে লাবনীকে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরে বাসে ঢাকায় চলে আসেন মনিরুজ্জামান।

গ্রেপ্তার মনিরুজ্জামান চৌধুরী পেশায় রাইড শেয়ার উবারের মোটরসাইকেল চালক। রাজধানীর মীরপুর-১ নম্বরের দারুসসালাম এলাকায় বসবাস করেন তিনি। মনিরুজ্জামান এক সন্তানের জনক।

লাবনীর বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায়। তার বাবার নাম আব্দুল লতিফ মিয়া। বর্তমানে তারা ঢাকার পল্লবীতে থাকেন। লাবনীর স্বামী পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। লাবনী দুই সন্তানের জননী ছিলেন।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে ঢাকা থেকে বরিশালে আসা যাত্রীবাহী পারাবত-১১ লঞ্চের ৩৯১ নম্বর কেবিন থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর নৌ-থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) অলোক চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন সদর নৌ-থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পিবিআইসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট সহায়তা করে আসছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর নৌ-থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা থেকে আব্দুল লতিফ মিয়া বরিশালে এসে উদ্ধার হওয়া মরদেহ তার মেয়ে লাবনীর বলে সনাক্ত করেন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাবনীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পাশাপাশি লঞ্চে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে লাবনীর সঙ্গে থাকা মনিরুজ্জামানকে সনাক্ত করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার মিরপুর-১ নম্বরে অভিযান চালিয়ে মনিরুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে লাবনীর ব্যবহৃত ওড়না ও মুঠোফোনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। বুধবার সকালে তাকে বরিশালে নিয়ে আসা হয়।

আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মনিরুজ্জামান চৌধুরী লাবনীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। বুধবার দুপুরে মনিরুজ্জামান চৌধুরীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি লাবনী তার স্ত্রী কি-না, নাকি তার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল এবং কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত হতে মনিরুজ্জামানকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০

মন্তব্য করুন: