প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাবেক এমপি জুবেদ আলী আর নেই
ময়মনসিংহ: বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী, সাবেক গভর্নর ও জাতীয় সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট এম জুবেদ আলী (৯০) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর পৌনে একটায় ময়মনসিংহ নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি ইন্তেকাল করেন।
রবিবার (১ মে) সকাল ১০টায় ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে এবং বেলা ১১টায় আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে মরহুমের জানাজা শেষে গোলকিবাড়ি কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মৃত্যুকালে দুই ছেলে ও তিন মেয়েসহ বহু আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জানা যায়, এম জুবেদ আলী ১৯৩০ সালে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কাউরাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি কিছুদিন শিক্ষকতা ও সরকারি চাকরি করেন। ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এলএলবি পাশ করে ১৯৬২ সালে আইন পেশায় যোগ দেন।
এরপর রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে তিনি ময়মনসিংহ পৌরসভায় কমিশনার নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭২ হতে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
১৯৭১ সাল থেকে পাঁচ বছর ময়মনসিংহ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন সংস্থা এবং জেলা সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন ময়মনসিংহ-২৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর ১৯৮৬ সালে নেত্রকোনা-৪ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) এবং ১৯৯১ সালে নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে ও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি নেত্রকোনা-৩ আসন থেকে পরাজিত হয়েছিলেন।
১৯৯৩ সনে সংসদ সদস্য হিসাবে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইন্টার পার্লামেন্টারি কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন।
এ ছাড়াও তিনি ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির ১১ বার সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছয়দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
প্রবীণ এই আইনজীবী ও রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ।
এপ্রিল ৩০, ২০২২
এসএবি/এবি/
মন্তব্য করুন: