সাবেক এমপি আরজুর নির্বাচনী এলাকায় শোভাযাত্রা ও পথসমাবেশ
ছবি: সময়বিডি.কম
পাবনা: পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়া আংশিক) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার আজিজুল হক আরজু ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে তার নির্বাচনী এলাকায় কর্মী সমাবেশ ও নির্বাচনী শোভাযাত্রা করেছেন।
বুধবার (৭ জুন) সকাল ১০টায় তিনি ঢাকা থেকে ফেরিতে কাজিরহাট ফেরিঘাটে এসে পৌঁছালে শতশত নেতাকর্মী ও সমর্থক তাকে অভ্যর্থনা জানান।
আজিজুল হক আরজু নেতা-কর্মীদের নিয়ে মোটরসাইকেল ও অর্ধশতাধিক মাইক্রোবাসের একটি বহর নিয়ে কাজিরহাট মোড়ে এসে পথসমাবেশে অংশ নেন। সেখানে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন তিনি।
উপস্থিত নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে আজিজুল হক আরজু বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীকের নির্বাচন করতে চাই। রাজনৈতিক জীবনের ৫৩ বছর আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।
তিনি বলেন, মাননীয় নেত্রী আমাকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দিলে আমি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জননেত্রীর পাশে থেকে তার হাতকে শক্তিশালী করতে চাই। এ সময় তিনি ছয় দফার তাৎপর্য তুলে ধরে কাজিরহাট পথসভায় বক্তব্য দেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগকে ভালোবাসলে প্রার্থী কে হবেন এটার অপেক্ষায় ঘরে বসে না থেকে বাইরে বের হয়ে আসুন। বর্তমান সরকারের সকল সফল উন্নয়নের কথা ঘরে ঘরে প্রচার করুন। মাননীয় নেত্রী এখানে যাকে প্রার্থী করে পাঠাবেন আপনার দলের স্বার্থে তার পক্ষেই কাজ করবেন।
নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগকালে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল ওহাবের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পুড়ান ভারেঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিয়াউর রহমান জিলাল, রূপপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সোনা, জাতসাকিনি ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান কাওছার আহমেদ পলাশ, ঢালারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামীমা রেজা টোকন, যুবলীগ নেতা আলম মোল্লা, জেলা মহিলা লীগের সহ-সভাপতি নীরা খন্দকার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হক মন্টু, সজীব প্রমুখ।
পথসমাবেশ শেষে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়ে কাজিরহাট থেকে শতাধিক মাইক্রোবাস ও মটরসাইকেল বহর নিয়ে যাত্রা শুরু করে মাসুমদিয়া, সাগরকান্দী, নাজিরগঞ্জ, সাতবাড়িয়া, ভায়না, সুজানগর উপজেলা হয়ে তাঁতীবন্দ, দুলাই, আহম্মদপুর, কাশিনাথপুর হয়ে নিজ বাড়ি নাটিয়াবাড়ি গিয়ে শেষ হয়।
জুন ৮, ২০২৩
ইকবাল কবীর রনজু/এবি/
মন্তব্য করুন: