• ঢাকা

  •  মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

জেলার খবর

গৌরীপুরের সহনাটী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

সুজিত দাস, বিভাগীয় প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: ২০:৪১, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গৌরীপুরের সহনাটী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

সহনাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন কাদের রুবেল

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন কাদের রুবেলের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর অনিয়ম ও দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করেছেন তার পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ ১১ ইউপি সদস্য।

ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়াসহ ভিজিডি চাল পরিমাপে কম দেওয়া, কাজের বিনিময়ে খাদ্য প্রকল্পে স্বজনপ্রীতি, ভুয়া নাম ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) কাজের বিনিময় খাদ্য প্রকল্প ৪০ দিনের কর্মসূচিতে গত দুই বছরে কোনো নতুন কাজ, রাস্তা সংস্কার বা নতুন রাস্তা তৈরি করা হয়নি।

কর্মসূচিতে যাদের নাম রয়েছে তাদের অধিকাংশই চেয়ারম্যানের নিকটতম আত্মীয়-স্বজন। এ ছাড়া উপকারভোগীদের নামে মোবাইল সিমগুলোও চেয়ারম্যান রুবেল নিজের কাছে রেখে দিয়ে তার মামাতো ভাইয়ের নগদ আজেন্টের মাধ্যমে উত্তোলন করে থাকেন।

গ্রামপুলিশ নিয়োগের নামে ধোপাজাঙ্গালিয় গ্রামের খোকন মিয়ার কাছ থেকে নগদ ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা, পল্টিপাড়া গ্রামের সুমনের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা, পেচাঙ্গীয়া গ্রামের আল-আমিন ও কাজলের কাছ থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে ৭ লাখ টাকা এবং ভালুকাপুর ও মরিচপুর গ্রামে থেকে আরও বেশ কয়েকজন প্রার্থীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে।

পরে তাদের তোপের মুখে অল্প টাকা ফেরত দিয়েছে বলে অভিযোগকারীরা জানান।

অপরদিকে ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্টর (ভিজিডি) সেবাগ্রহীতাদের ২ মাসে ৬০ কেজি চালের পরিবর্তে এক হাজার ২০০ করে টাকা দেওয়ার বিষয়টি  বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।

এ ছাড়া উল্লেখিত ইউনিয়নের পাছার বাজারে চুরি ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উন্নয়ন সহায়তা খাতের সরকারি বরাদ্ধ ৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ৮০ হাজার টাকা ব্যায়ে ছয়টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান।

সিসি ক্যামেরার সরকারি বরাদ্দের কথা গোপন করে দোকানিদের কাছ থেকে আরও ৯৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

নির্বাচনে প্রতিদন্দ্বী প্রার্থীর এলাকার লোকজনকে চিহিৃত করে চারিত্রিক সনদসহ বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা থেকে বঞ্চিত করা, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রাম্য সালিশ ডেকে তাদের হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে। 

কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্টপোষকতা, ডিজিটাল সেবায় অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

গ্রামপুলিশ নিয়োগের নামে প্রতারণার শিকার খোকন জানান, দীর্ঘদিন ঘুরে কিছু টাকা ফেরত পেয়েছেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার ০১৭১১৭৮৩৩৩৬ মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তা ছাড়া তার সঙ্গে দেখা করে কথা বলাও সম্ভব হয়নি।

এসকেডি/এবি/

মন্তব্য করুন: