• ঢাকা

  •  বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪

জেলার খবর

মমেক হাসপাতালে ১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ স্থগিত

সুজিত দাস, বিভাগীয় প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: ০৯:২০, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মমেক হাসপাতালে ১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ স্থগিত

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের ১৩ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারি কমিটি।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটায় হাসপাতালের এই কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হলেন- ডা. প্রতীক বিশ্বাস, লতিফুল কবির কৌশিক, সুনিতি কুমার, শাহিন রেজা, নাঈমুর রশিদ, মেহেদী হাসান রোমান, এটিবি রুবেল, ফায়াদুর রহমান আকাশ, কামরুল হাসান, আবু রায়হান, সাখাওয়াত হোসেন সিফাত, অর্ণব কুণ্ড ও কাশফি তাবরিজ।

কমিটির সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ, আন্দোলন বানচালের উদ্দেশ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের হুমকি প্রদান, ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের অপরাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং বিভিন্ন সময় সাধারণ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ক্যাম্পাস ও তৎসংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, হোস্টেলে মাদক বাণিজ্য ও মাদক সেবনের অভিযোগ এনে বুধবার দুপুরে হাসপাতালের ১৩ জন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হাসপাতাল পরিচালকের কাছে দাবি জানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। 

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে শিক্ষানবীশ চিকিৎসকদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী হাসপাতালে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে হাসপাতালের পরিচালক ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌসের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্যরা জরুরি সভা করেন। সভায় হাসপাতালের শিক্ষানবিশ ১৩ জন চিকিৎসককে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণসহ বিভিন্ন অভিযোগে কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয়।

এর আগে বুধবার দুপুরে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে এলাকায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথবাহিনী হাসপাতলে উপস্থিত হয়। ডিসিপ্লিনারি কমিটির এমন সিদ্ধান্তে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুর রহিম বলেন, ১৩ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকের প্রত্যেককে আগামী পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সামনে সরাসরি উপস্থিত হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এসকেডি/এবি

মন্তব্য করুন: