• ঢাকা

  •  শুক্রবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৪

জেলার খবর

চুয়াডাঙ্গায় ঠাণ্ডাজনিত রোগ বাড়ছে, হাসপাতালে ভিড়

সালাউদ্দীন কাজল

 প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় ঠাণ্ডাজনিত রোগ বাড়ছে, হাসপাতালে ভিড়

ছবি: সময়বিডি.কম

চুয়াডাঙ্গায় আবহাওয়াজনিত কারণে নিউমোনিয়া, জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা। তবে এরমধ্যে বেশিরভাগ শিশু। এতে সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন আসছে রোগী।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে চাপ রয়েছে হাসপাতালের বহির্বিভাগেও।

প্রতিদিন জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশিতে আক্রান্ত হয়ে ৮০০ থেকে ১ হাজার শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন।

চিকিৎসকরা বলছেন, এই সময়ে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশু ও বয়স্কদের অতিরিক্ত যত্ন ও অভিভাবকদের সচেতনতার বিকল্প নেই।

মঙ্গলবার সদর হাসপাতালের পুরনো ভবন ঘুরে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডে পা ফেলার জায়গা নেই। এমনকী পুরনো ভবনের কলাপসিবল গেট পর্যন্ত পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু রোগীরা৷ একদিকে শিশু রোগীদের চাপ, অন্যদিকে লোকবল সঙ্কটের কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স ও চিকিৎসকরা৷

গত ৯ দিনে (৭ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর সকাল ৯টা পর্যন্ত) শিশু ওয়ার্ডে মোট ভর্তি হয়েছে চার শতাধিক শিশু রোগী। এরমধ্যে ৫০ শতাংশ নিউমোনিয়া আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন।

শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ রেহেনা পারভিন বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে এবার অতিরিক্ত হারে শিশু রোগী বাড়ছে। পা ফেলার জায়গা নেই। একদিকে লোকবল সঙ্কট অপরদিকে রোগীদের চাপ সামলাতে প্রচুর বেগ পেতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদরের চিকিৎসা নিতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, গত চার দিন আগে হঠাৎ আমার ছেলের প্রচণ্ড জ্বর ও ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হয়। বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা করেও সুস্থ না হওয়ায় দুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে।

চিকিৎসা নিতে আসা অপর এক ব্যক্তি বলেন, আমার নাতির জ্বর ও ঠাণ্ডা। অবস্থা বেগতিক হলে গতকাল সোমবার সকালে ভর্তি করি। ওয়ার্ডে কোনো জায়গা নেই। নাতিকে নিয়ে মেঝেই চিকিৎসা দিচ্ছি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে সদর হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি বেড়েছে বৃদ্ধ রোগী৷ এসব রােগীর ৫০ শতাংশই নিউমোনিয়া আক্রান্ত।

এসইউকে/এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: