• ঢাকা

  •  মঙ্গলবার, অক্টোবর ২২, ২০২৪

জেলার খবর

ময়মনসিংহে ডিবির সাবেক ওসিসহ ১৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

সুজিত দাস, বিভাগীয় প্রতিনিধি

 আপডেট: ১১:৫৪, ২১ অক্টোবর ২০২৪

ময়মনসিংহে ডিবির সাবেক ওসিসহ ১৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

ওসি আশিকুর রহমান

ক্রসফায়ারে ময়মনসিংহের পুরোহিতপাড়ার রাজন হত্যার ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার সাবেক ওসি আশিকুর রহমানসহ ১৭ জনের নামে আদালতে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। 

রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে নিহত রাজনের বাবা হারুন অর রশিদ (৫৪) বাদী হয়ে ময়মনসিংহ সদর ১ নম্বর আমলি আদালতে মামলার জন্য অভিযোগ দাখিল করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান, এসআই ফারুক আহমেদ, এসআই পরিমল চন্দ্র দাস, এসআই আকরাম হোসেন, এএসআই আব্দুল মজিদ, এএসআই জিন্নাত হাসান মানিক, এএসআই জাকির হোসেন, এএসআই জিল্লুর রহমান, কনস্টেবল কাউসার হাবিব, কনস্টেবল গোলজার, কনস্টেবল সোহরাব আলী, কনস্টেবল সাইফুল, কনস্টেবল সেলিম, কনস্টেবল রাশেদুল, কনস্টেবল সানোয়ার ও কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ কোর্টের পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাছিনুর রহমান জানান, বাদী হারুন অর রশিদ মামলা করতে রবিবার আদালতে অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগ আমলে নিয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন জামিল ঘটনা তদন্তপূর্বক কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২ মে রাত ১টার সময় ডিবির সাবেক ওসি আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল নগরীর পুরোহিতপাড়ায় অভিযান চালিয়ে রাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে ছেলেকে দেখার জন্য ডিবি কার্যালয়ে যান হারুন অর রশিদ। কিন্তু দুই দিনেও তাকে ছাড়েনি। এরপর ২৪ মে সকালে হারুন অর রশিদ আবারও ছেলেকে ছাড়াতে ডিবি কার্যালয়ে গেলে ওসি আশিকুর রহমান ১০ লাখ টাকা রাতের মধ্যে দিতে হবে এমনটা দাবি করেন। কিন্তু টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ফলে টাকা দেওয়া হয়নি।

পরে রাত পৌনে ২টার সময় পুরোহিতপাড়া রেলওয়ে ভাঙ্গা ওয়াল সংলগ্ন পুকুরপাড় দক্ষিণ পশ্চিম কোনায় রেনু বেগমের বাড়ির পাশে রাজনকে নিয়ে গিয়ে ওসি আশিকুর রহমানের নির্দেশে সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা হত্যার উদ্দেশ্যে বুকে ও পেটের নিচে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এরপর সে মারা যায়। পরে পুলিশ মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

মামলার বাদী হারুন অর রশিদ বলেন, মাত্র ১০ লাখ টাকা দিতে না পারায় ওসি আশিকুর রহমানসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা আমার ছেলে রাজনকে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় দায়ীদের বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য আদালতে অভিযোগ দাখিল করেছি।

এসকেডি/এবি

মন্তব্য করুন: