মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে বিএনপি নেতা হিরণের সংবাদ সম্মেলন
ছবি: সময়বিডি.কম
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সিধলা ইউনিয়নে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেনের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় কিছু সংবাদমাধ্যমে নাম জড়ানোর প্রতিবাদে সম্মেলন করেছেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে গৌরীপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ বলেন, ছাত্র রাজনীতি শেষে ১৯৯৮ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়েছি। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে মানুষের সেবায় নিজেকে যুক্ত করেছি। সুখে-দুঃখে তাদের পাশে থেকেছি। যার প্রেক্ষিতে ২০০৩ সালে ১নং মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদ ও ২০১৪ সালে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম।
আর রাজনীতির শুরু থেকেই রাজপথে আন্দোলন ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৬ বছরে রাজপথে লড়াই-সংগ্রাম, প্রতিবাদ ও মিছিল করতে গিয়ে শতাধিক মামলার আসামি হয়েছি।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সম্প্রতি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেনের নিজ ইউনিয়ন সিধলার টেঙ্গুটিপাড়া গ্রামের আকিকার দাওয়াত, বালিয়াপাড়া গ্রামে একটি মঞ্চ নাটকের অতিথি হওয়া ও স্থানীয় একটি জমি সংক্রান্ত বিরোধসহ আরও কিছু ঘটনার জেরে এদিন সকালে তারর লোকজন তার চাচা ও একই গ্রামের নুরুজ্জামানকে মারধর করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনার জেরে এলাকাবাসী বেকালে ইকবাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলার করেন। হামলার ঘটনাটি আমি গৌরীপুর থানার ওসি মাযহারুল আনোয়ার ও গৌরীপুর অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর নাঈম সাহেবের ফোন কলের মাধ্যমে জানতে পারি।
বিষয়টি ইকবাল সাহেবের একান্ত ব্যক্তিগত ও গ্রাম্য দলাদলির বিষয় হলেও মূল ঘটনা আড়াল করতে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত না করে প্রতিহিংসামুলকভাবে আমার নাম জড়ানো হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। কিছু সংবাদমাধ্যম এ ঘটনার প্রকৃত সত্যতা যাচাই না করেই মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে পারলে এর সমস্ত দায় আমি মাথা পেতে নেব।
প্রকৃত ঘটনা সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার হয়েছে এতে সামাজিক ও রাজনীতিকভাবে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, আমার সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।
অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মাযহারুল আনোয়ার জানান, সিধলা ইউনিয়নের ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
এসকেডি/এবি/
মন্তব্য করুন: