• ঢাকা

  •  শুক্রবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৪

অপরাধ

কালাইয়ে মাদ্রাসাছাত্রকে নিয়মিত বলাৎকার করতো শিক্ষক

সময়বিডি ডেস্ক

 প্রকাশিত: ০৩:৫১, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

কালাইয়ে মাদ্রাসাছাত্রকে নিয়মিত বলাৎকার করতো শিক্ষক

কালাই (জয়পুরহাট): জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার শাইলগুন সৈয়দ জালালিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্র তার নিজ শিক্ষক দ্বারা বলাৎকারের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনা জানাজানি হলে মাদ্রাসায় তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক সুজাউল ইসলাম।

এ ঘটনায় পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করলেও একটি পক্ষ আপস মীমাংসার জন্য চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের শাইলগুন গ্রামে ১৯৮২ সালে স্থাপিত হয় ‘শাইলগুন সৈয়দ জালালীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা।’ যেটি পূর্ণাঙ্গ রূপে ২০০০ সাল থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোরআন শিক্ষা দিয়ে আসছে।

সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক সুজাউল ইসলাম শাইলগুন গ্রামের ১২-১৩ বছরের এক ছাত্রকে গত রমজান মাস থেকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বলাৎকার করে আসছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলে, গত রমজান মাস থেকে হুজুর আমাকে বিভিন্ন কৌশলে বলাৎকার করে আসছে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সম্প্রতি আমার মামাকে বিষয়টি জানাই। তিনি আমার বাবাকে ঘটনাটি খুলে বললেই হৈ চৈ পড়ে যায়।

এ শিক্ষার্থীর মা ও চাচি অনেকটা ক্ষোভের সঙ্গে জানান, আমরা ওই শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি। কিন্তু তৃতীয় পক্ষ আপস-মীমাংসার নামে থানায় মামলা দায়ের করতে দিচ্ছে না।

এ ঘটনায় শাইলগুন বাসিন্দা ছবেদা বেগম, রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অনেকেই জানান, আমাদের সন্তানরা আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নিরাপদ নয়। আমরা এখন যাব কোথায়?

ওই গ্রামের শিক্ষার্থী জিহাদ মণ্ডল, ওয়ারেছ কুরুনীসহ একাধিক ছাত্র বলে, আমরা এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতেও ভয় পাচ্ছি।

এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ সারোয়ার হোসেন বলেন-প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। দু’পক্ষ বসে একটি আপস-মীমাংসা করা হবে। বর্তমানে ওই শিক্ষককে ছুটি দেওয়া হয়েছে। আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় না আসায় সেটি এখন বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষকের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ খান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। বলাৎকারের শিকার ছাত্রের বাসায় বার বার গিয়েও তাঁদের মামলা করাতে পারিনি। ঘটনাটি তৃতীয়পক্ষ আপস-মীমাংসা করেছে বলে আমি শুনেছি। থানায় এ সংক্রান্ত আমরা একটি সাধারণ ডায়েরিও অন্তর্ভুুক্ত করেছি বলেও জানান ওসি আব্দুল লতিফ খান।

শাইলগুন সৈয়দ জালালিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬০ জন। আর এ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য ৭ সদস্যের একটি কমিটি রয়েছে।-সময়সংবাদ

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০

মন্তব্য করুন: