• ঢাকা

  •  শুক্রবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৪

অপরাধ

বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, আটক ৪

নিউজ ডেস্ক:

 প্রকাশিত: ০৯:৩২, ৭ মে ২০২৩

বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, আটক ৪

সাতক্ষীরা থেকে টাঙ্গাইলের মধুপুরে বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৬ বছর বয়সের এক কিশোরী। ভুক্তভোগীর দাবি, গত শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অন্তত পাঁচবার তাকে ধর্ষণ করে চার ব্যক্তি। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার সকালে মধুপুর থানায় ওই কিশোরী মামলা করলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো - মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের বাগাডোবা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে সজীব মিয়া (২৮), কাইলাকুড়ি (কামারতাফাল) গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৮), জামালপুর সদরের রশিদপুর ক্ষেত্রীপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মামুন (২৬) ও রশিদপুর ভাটিপাড়ার মরহুম রুহুল আমিনের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩০)।

ধর্ষণের শিকার কিশোরী মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের বাগাডোবা গ্রামের মোঃ মোস্তফার ছেলে নাজমুল হোসেনের (২০) বন্ধু। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নাজমুল হোসেনের স্বজন ও পূর্বপরিচিত।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত শুক্রবার দুপুরে মধুপুরে আসার পথে জামালপুরের রশিদপুর চৌরাস্তা থেকে ওই কিশোরীকে মোটরসাইকেলে করে আনতে যায় বন্ধু নাজমুলের চাচাতো ভাই সজীব ও হাফিজুর। তারা মেয়েটিকে নাজমুলের বাড়িতে না নিয়ে বিভিন্ন দিকে ঘোরাঘুরি করে। বিকেলে মধুপুর উপজেলার চাঁদপুর রাবার বাগানের কালাপাহাড় এলাকার বনে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে দু’জন। ছিনিয়ে নেওয়া হয় তার মোবাইল ফোন। ঘটনা প্রকাশ করলে দেওয়া হয় হত্যার হুমকি। পরে সন্ধ্যায় তারা আবার কিশোরীটিকে রশিদপুর চৌরাস্তায় মোবাইলসহ রেখে আসে।

পরে মেয়েটি নাজমুলকে বিষয়টি জানালে কিশোরীকে অপেক্ষা করতে বলে। এ সময় বাজারে অবস্থান করা মামুন নামে এক ব্যক্তি সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসে। সাতক্ষীরায় পাঠানোর কথা বলে মামুন দিগপাইত এলাকায় নিয়ে যায় মেয়েটিকে। সেখানে খাওয়ার সময় নাজমুল ফোন করে মেয়েটির অবস্থান জেনে আবার রশিদপুর ফিরে আসতে বলেন। ওই কিশোরীকে আবার অটোরিকশায় নিয়ে রশিদপুরের দিকে ফেরার পথে একটি বাড়িতে ঢোকে মামুন। সেই বাড়ি থেকে যোগ দেয় হাফিজুল। সেখান থেকে হেঁটে রশিদপুরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সর্দারবাড়ি এলাকার ধানক্ষেতে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে দু’জন। তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে বন্ধ করে দেয়। পরে রশিদপুর-তুলসীপুর সড়কে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। 

ভুক্তভোগী এ সময় নাজমুলের সঙ্গে ফোনে কথা বলে নিজের অবস্থান জানায়। নাজমুল মোটরসাইকেল নিয়ে এসে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মধুপুরের ফুলবাগচালা ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আলীর কাছে নিয়ে যায়। দ্রুত তাদের থানায় পাঠিয়ে দেন চেয়ারম্যান।

শনিবার (৬ মে) সকালে নাজমুলকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দেয় ধর্ষণের শিকার কিশোরী। 

ফুলবাগচালা ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আলী বলেন, ধর্ষণের মতো অপরাধ স্থানীয়ভাবে সমাধানের সুযোগ নেই। তাই তাদেরকে থানায় পাঠিয়ে দিয়েছি। এদিকে শনিবার সকালে নাজমুলসহ থানায় এসে ওই কিশোরী অভিযোগ করে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

মধুপুর থানার ওসি মাজহারুল আমিন জানান, কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আলাদাতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মে ৭, ২০২৩

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: