• ঢাকা

  •  সোমবার, ডিসেম্বর ২, ২০২৪

অপরাধ

ময়মনসিংহে ইজিবাইকচালক হত্যার রহস্য উদঘাটন

সুজিত দাস, বিভাগীয় প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: ০৯:২৬, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

ময়মনসিংহে ইজিবাইকচালক হত্যার রহস্য উদঘাটন

ছবি : সংগৃহীত

ময়মনসিংহে চালকের গলা কেটে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। একইসঙ্গে ছিনতাই হওয়া ইজিবাইকটিও উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার ভোরে ঢাকা মহানগরীর খিলগাঁও এলাকার বস্তি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রবিন মিয়া (১৯) ও মো. মিলন (২০)। তাঁরা ময়মনসিংহ সদরের পরানগঞ্জ ইউনিয়নের চর হাসাদিয়া এলাকার বাসিন্দা। 

তিনি ইজিবাইকচালকের নাম আকাশ মিয়া (২০)। সে একই এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গত ২৬ নভেম্বর রাতে চালক আকাশ মিয়াকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে করে মরদেহটি ময়মনসিংহ সদরের সিরতা ইউনিয়নের সরকারবাড়ি টেকের মাথা কালভার্ট সংলগ্ন ধানখেতে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এই ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা হয়।

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো শহীদুল ইসলাম বলেন, মামলা হওয়ার পর থেকে গোয়েন্দা পুলিশ মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ শুরু করে। শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে ঢাকার খিলগাঁও গার্লস স্কুলের পিছনের বস্তি থেকে রবিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মো. মিলনকে খিলগাঁও এলাকার আরেকটি বস্তি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার সাগর মিয়ার গ্যারেজের সামনে থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে দুইজন জানিয়েছে, আকাশ ও তারা একই গ্রামের বাসিন্দা। মিলন ঢাকায় পোশাকশ্রমিক এবং রবিন চালের আড়তে শ্রমিকের কাজ করে। ফেসবুকে একটি মেয়ের সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে আকাশ ও মিলনের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ নিয়ে দুই মাস আগে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এরই জেরে মিলন ও রবিন ঢাকা থেকে আকাশকে হত্যা ও তার অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে বাড়িতে আসে। 

মিলন ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আকাশকে ফোন করে তার অটোরিকশা নিয়ে আসতে বলে। আকাশ রাত সাড়ে সাতটার দিকে অটোরিকশা নিয়ে মিলনের কাছে আসে। মিলন ও রবিন আকাশের গাড়িতে ময়মনসিংহ সদরের পরানগঞ্জ ও বোররচরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরাফেরা করতে থাকে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিলন অটোরিকশার পিছনের সিট থেকে আকাশের গলা ছুরি দিয়ে কেটে ফেলে। পরে মরদেহ অটোরিকশা থেকে প্রথমে রাস্তায় ও পরে রবিনের সহযোগিতায় রাস্তার পাশের ধানখেতে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।

এসকেডি/এবি

মন্তব্য করুন: