পদ্মাসেতু এক্সপ্রেসওয়েতে নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর
ফরিদপুর: ফরিদপুরের ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে আগুনে পুড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স থেকে উদ্ধার হওয়া সাতজনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যা পৌণে সাতটার দিকে নিহতদের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
দুর্ঘটনায় নিহত কমলার দেবর জাকির খান চারজনের মরদেহ বুঝে নেন। তারা হলেন বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমড়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীরের স্ত্রী কমলা (৩০) ও কমলার তিন সন্তান আরিফ (১২), হাসিব (১০), আফসা (১)।
সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মাহমুদের স্ত্রী বিউটি (২৬) ও বিউটির ছেলে মেহেদীর (১০) লাশ বুঝে নেন তাদের স্বজন মোঃ আবুল হাসান।
বোয়ালমারীর গুনবাহা ইউনিয়নের ফেলানগর গ্রামের আজিজার স্ত্রী তসলিমা বেগমের (৫০) লাশ বুঝে নেন তার চাচাশ্বশুর আবদুল হামিদ শেখ (৭১)।
এদিকে ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক মৃদুল মালো (২৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান তালুকদার জানান, এ ঘটনায় তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বোয়ালমারী উপজেলা থেকে ভাড়া নিয়ে গতকাল শুক্রবার ঢাকায় এসেছিলেন অ্যাম্বুলেন্সচালক মৃদুল মালো। ফেরার সময় ঢাকার কদমতলী থেকে তিনি ওই যাত্রীদের অ্যাম্বুলেন্সে তুলেছিলেন। এরপর রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসা শেষে যাত্রীদের নিয়ে বোয়ালমারী ফিরছিলেন।
চালক মৃদুল মালো জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে বেপরোয়া গতিতে আকাবাকাভাবে চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল আসতে দেখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এরপর অ্যাম্বুলেন্সেটি এক্সপ্রেসওয়ের সড়ক বিভাজকের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তবে নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণেই নাকি পেছন থেকে অন্য কোনো গাড়ির ধাক্কায় রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে কিনা তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি।
জুন ২৫, ২০২৩
এসবিডি/এবি/
মন্তব্য করুন: