• ঢাকা

  •  বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫

বাংলাদেশ

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে যা থাকবে

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ২১:৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে যা থাকবে

প্রতীকী ছবি

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলের বিডিআর হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে সব হত্যা, গুম ও খুনের চিত্র উঠে আসবে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে। এই ঘোষণাপত্র অনুযায়ী দেশ পরিচালনার দাবি তুলবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। 

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘোষণাপত্র নিয়ে ফ্যাসিস্টবিরোধী সব দলের মধ্যে ঐক্যমত্য থাকতে হবে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ফ্যাসিস্টবিরোধী রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই আন্দোলনে অংশ নেয়।

গণঅভ্যুত্থানের প্রায় ৫ মাস পর মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। সংগঠন দুটির নেতারা বলছেন, যে আশা-আকাঙ্খা নিয়ে জুলাই আন্দোলন হয়েছিলে সেটি বাস্তবায়নের জন্য এই ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে। 

প্রেস উইং৩১ ডিসেম্বরের ঘোষণাপত্রের বিষয়টি স্পষ্ট নয়: প্রেস উইং
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘তারা (আন্দোলনকারীরা) কেন জীবন দিয়েছে, কেন সাতচল্লিশ ঘটেছে, কেন একাত্তর ঘটেছে, কেন নব্বই ঘটেছে তারপরও কেন চব্বিশে এসে দুই হাজারজনকে জীবন দিতে হলো? তারা কোন আকাঙ্খা ধারণ করে, কোন স্বপ্ন লালন করে তারা জীবন দিয়েছে?’ 

৭২ এর সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেই চিত্রও থাকবে ঘোষণাপত্রে। শেখ হাসিনার শাসনামলের পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়সহ গুম ও খুনের বিষয়গুলোও  থাকবে। জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার দাবি তুলবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমাদের ঐতিহাসিক যে সংগ্রামগুলো আছে সাতচল্লিশ, একাত্তর প্রত্যেকটা সংগ্রামে আমাদের চাওয়া কি ছিল, সেগুলো কিভাবে বেহাত হলো, সেই বেহাতের জায়গা থেকে মানুষ কেন সংক্ষুব্ধ হলো, গুম-খুন অধিকারহীনতা প্রত্যেকটা বিষয়কেই অ্যাডরেস করে এবং সামনের দিকে মানুষের চাওয়ার জায়গা কি তা থাকবে ঘোষণাপত্রে।’ 

এই ঘোষণাপত্র আরও আগে আসা উচিত ছিল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘এমনভাবে এটা তৈরি হবে যেন মানুষের ইচ্ছা ও আকাঙ্খাকে প্রতিফলন করে। এটা যেন তরুণ ছাত্র-জনতা, যারা সেক্রিফাইস করেছে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে তাদের ইচ্ছা ও তাদের যে প্রত্যাশা সেটা যেন এই ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হয়।’ 

সেইসঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যারা ফ্যাসিবাদের দোসর, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তুলবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি

এসবিডি/এবি

মন্তব্য করুন: