অঝোরে কাঁদলেন মিয়া খালিফা, কেন?
মিয়া খলিফা। তার নাম শুনেননি এমন মানুষ 'আধুনিক বিশ্বে' খুব কমই পাওয়া যাবে। প্রাক্তন এই পর্ন-তারকা হ্যারি পটারের বড় ভক্ত। গেলো ডিসেম্বরে মিয়া খালিফা তার সঙ্গীর সঙ্গে ফ্লোরি়ডার ইউনিভার্সাল স্টুডিওতে বেড়াতে গিয়েছিলেন হ্যারি পটার ছবির সেট দেখতে। কিন্তু সেখানে হগওয়ার্টস একপ্রেসে বসতেই তিনি অঝোরে কাঁদতে থাকেন। কিন্তু কেন?
জানা যায়, মিয়া এবং তার পুরুষ সঙ্গী কর্টেজ ট্রেনে ওঠার আগে ম্যাজিক মাশরুম খেয়েছিলেন! ‘চকলেট মাশরুম’-এর প্রভাবেই তার এই কান্না। আর তার পুরুষসঙ্গী প্রফেসর স্নেপের কস্টিউমে বমি করে দেয় বলে জানা যায়।
কর্টেজ ট্রেনে বসে মিয়া দেখেন, একটি ছোট মেয়ে তার পরিবারের সঙ্গে বসে আছে। সে কপালে হ্যারি পটারের মতো কাটা দাগ এঁকেছে। তাকে দেখে মিয়ার নিজের ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে যায়। তারপর তিনি উপলব্ধি করেন, তিনি জীবনে এখন কতো সুখী।
তার সঙ্গী কোনোদিন হ্যারি পটারের কোনে ছবি দেখেননি। তা-ও মিয়া খলিফার মন রাখতে তিনি ট্রেনে বসে আছেন হ্যারির জাদুকাঠি ধরে। তাতেই মিয়ার মনে হয়, তিনি কতটা সুখী। আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।
এখন জানতে পারি ‘ম্যাজিক মাশরুম’ কী?
ম্যাজিক মাশরুম হলো এক ধরনের সাইকেডেলিক ড্রাগ। তার মধ্যে সিলোসাইবিনের মতো কিছু উপাদান থাকে। নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে এটি সেবনে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে জানিয়েছে বহু গবেষণা।এলএসডি, এমডিএমএ বা এ জাতীয় বহু ড্রাগ তাই কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবসাদ কিংবা উদ্বেগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় ১২ জনের উপর এই মাশরুমের প্রভাব নিয়ে পরীক্ষা চালালে দেখা যায়, এক সপ্তাহ পর, এমনকি, এক মাস পরও এই ড্রাগের ইতিবাচক প্রভাব মস্তিষ্কে থেকে যায়।
মনে রাখতে হবে, এই ধরনের ড্রাগ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই নেয়া উচিত নয়। অনিয়ন্ত্রিত ভাবে এর সেবন শরীরের ক্ষতি করতে পারে। এর প্রভাব দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে।
মে ১১, ২২০২২
এসবিডি/এবি/
মন্তব্য করুন: