• ঢাকা

  •  শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

অর্থ ও কৃষি

দিনাজপুরের বাজারে মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি ও বেদানা লিচু

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

 প্রকাশিত: ২০:৪৫, ৬ জুন ২০২২

দিনাজপুরের বাজারে মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি ও বেদানা লিচু

ছবি: সময়বিডি.কম

দিনাজপুর: অবশেষে জমে উঠেছে দেশসেরা টসটসে মাদ্রাজি, চায়না থ্রি ও বেদানার মতো লোভনীয় লিচুর বাজার। নানা রং এবং মনকাড়া স্বাদের লিচু মন কেড়েছে সবার। রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে লিচু।

এবারো লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, দিনাজপুরে লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। এবার দিনাজপুরে লিচুর উৎপাদন হবে ৩০ মেট্রিকটনের বেশি। সব মিলিয়ে এ মৌসুমে ৬০০ কোটি টাকার ওপরে লিচু বিক্রি হবে।

দিনাজপুর সদর উপজেলার মাসিমপুর ও বিরলের মাধববাটি এলাকার লিচু সারাদেশে বেশি সমাদৃত। এ এলাকার উৎপাদিত লিচুগুলোর মধ্যে মাদ্রাজি, চায়না থ্রি ও বেদানা ইতোমধ্যেই বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তবে বোম্বাই, কাঁঠালি ও হাঁড়িয়া জাতের লিচু আরো কিছুদিন পরে বাজারে আসবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে লিচুর বাজার জমে উঠেছে। ভ্যান ও অটোরিকশার ওপর থেকেই লিচু বেচাকেনা করছেন অনেক পাইকার। পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠেছে লিচুর বাজার।

এ ছাড়া দিনাজপুরের হাটেগঞ্জে, পথে-প্রান্তরে, সবখানেই রসালো বিভিন্ন জাতের লিচুর পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।

দিনাজপুরে অস্থায়ী এই লিচুর বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে মাদ্রাজি, বেদানা ও চায়না থ্রি জাতের লিচু। আমদানিও অনেকটা ভালোই বলা চলে। তবে এবার দাম বেশ চড়া। পাইকারি প্রতি হাজার মাদ্রাজি লিচু বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার টাকা থেকে তিন হাজার টাকা দরে। বেদানা জাতের প্রতি হাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা আর চায়না-থ্রি প্রতি হাজার বিক্রি হচ্ছে ১৩ হাজার টাকা থেকে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত।

ফল ব্যবসায়ীরা বলেন, খুচরা বাজারে একটি দোকান থেকে প্রতিদিন গড়ে লিচু কেনাবেচা হচ্ছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। এই লিচুর খুচরা বাজারে ৮০টি দোকান আছে। আর পাইকারি বাজারে রয়েছে ৪০টি দোকান। এই পাইকারি বাজারে একটি দোকান থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকার লিচু কেনাবেচা হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

এদিকে দিনাজপুর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রিয়জনদের লিচু পাঠাতে কুরিয়ার কোম্পানির বেঁধে দেওয়া অযৌক্তিক সার্ভিস চার্জের কবলে পড়ে বিপাকে আছেন স্থানীয় স্বজনরা।

একজন ভুক্তভোগী জানান, দুইশ লিচু ঢাকায় পাঠাতে একটি কুরিয়ার কোম্পানিকে দিতে হচ্ছে ৫০০ টাকা আর হোম ডেলিভারিতে খরচ নিচ্ছে ৭০০ টাকা। এটিকে দিনদুপুরে ডাকাতির মতো অবস্থা ব্যক্ত করে এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

দিনাজপুর ফল ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. রস্তম আলী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিউর রহমান বিপ্লব জানিয়েছেন, লিচুর ফলন ভালোই হয়েছে। দাম গতবারের তুলনায় একটু বেশি। কেননা, এবার বাগান থেকেই বেশি দামে লিচু কিনতে হচ্ছে আমাদের। দাম বেশি হলেও ভালো লিচুই বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তারা।

জুন ৬, ২০২২

আব্দুস সালাম/এবি/

মন্তব্য করুন: