বাংলাদেশি ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে
প্রতীকী ছবি
স্কলারশিপ পেয়ে ভারতের পশ্চিম বর্ধমানের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক ছাত্রী।
অভিযোগ, চিকিৎসা করানোর নামে নার্সিংহোমে ভর্তি করে সেখানেই বাংলাদেশি ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক।
অভিযুক্ত পশ্চিম বর্ধমানের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। ঘটনাটি গত বছরের। এই ঘটনায় পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, স্কলারশিপ পেয়ে ভারতে পড়তে এসে রানিগঞ্জের একটি কলেজ থেকে স্নাতক হন ওই তরুণী। এর পর কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন স্নাতকোত্তর পড়তে।
অভিযোগ, বিভাগের এক অধ্যাপক তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বলেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি ওই ছাত্রী। উল্টো অধ্যাপকের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অধ্যাপকের আচরণের কথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ।
ছাত্রীর দাবি, এর পর হস্টেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এই খবর পেয়ে হস্টেলে এসে হাজির হন ওই অধ্যাপক। কারও কোনো অনুমতি না নিয়ে ছাত্রীকে নিয়ে দুর্গাপুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন তিনি। তারপর নার্সিংহোমের কেবিনেই অসুস্থ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।
ছাত্রীর দাবি, ঘটনার কথা পুলিশে জানিয়েও লাভ হয়নি। বিচারের দাবিতে ঘুরেও সুবিচার না পাওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে মামলা করেছেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। আগামী সোমবার মামলাটির শুনানি হতে পারে বলে আদালত জানিয়েছে।
অভিযোগ সম্পর্কে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রতিক্রিয়া দেননি অভিযুক্ত অধ্যাপকও।
এসবিডি/এবি
মন্তব্য করুন: