• ঢাকা

  •  বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫

জেলার খবর

‘উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলেই বন্ধের নোটিশ চলে আসে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: ২১:২২, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

‘উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলেই বন্ধের নোটিশ চলে আসে’

ছবি: সময়বিডি.কম

‘নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে অভিযান পরিচালনা করলেই আধঘণ্টার মধ্যে অভিযান বন্ধের নোটিশ চলে আসে’ এমন মন্তব্য করেছেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার ইউসুফ আলী।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এলআরডি, বেলা, ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলন, অন্যচিত্র ফাউন্ডেশন ও ওয়াটার রাইটস ফোরামের যৌথ আয়োজনে ময়মনসিংহ নগরীর গ্রিণ পয়েন্ট রেস্টুরেন্ট ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ব্রহ্মপুত্র নদের দখল-দূষণ রোধে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করছেন।

তিনি বলেন, নেত্রকোনা জেলার মগড়া নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করলেই আধঘন্টার মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের নোটিশ চলে আসে।

তিনি আরও বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহের চার জেলায় ১৭৯টি নদীর তালিকা করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রত্যেক জেলায় একটি করে নদী দখল, দূষণমুক্ত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ব্রহ্মপুত্রের উৎসমুখ থেকে খনন করে আসা হবে। নদী পাড়ের বাসিন্দাদের এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে স্বোচ্ছার হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন এলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।

অন্যচিত্রের সমন্বয়ক ইমন সরকার রূপমের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খালিদ মাহমুদ ও প্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আবুল কালাম আল আজাদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এসপি ময়মনসিংহ কার্যালয়ের এসআই সাঈদ কামাল, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক অপু দাস, পরিবেশ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মেসবাউল হক, অন্যচিত্রের নির্বাহী পরিচালক রেবেকা সুলতানা, এএলআরডি’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার সানজিদা খান রীপা।

বক্তারা বলেন, ব্রহ্মপুত্র বাঁচলে আমাদের এই জনপদ বাঁচবে। আমাদের নদীর পাড়ে গড়ে উঠা স্থাপনাগুলো ভেঙে দখলমুক্ত করার অহ্বান জানান তারা। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নদী রক্ষার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিলে নদী বিপ্লব করতে হবে।

এ সময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেনআনন্দ মোহন কলেজের অধ্যাপক আফজালুর রহমান, এসেড ময়মনসিংহের নির্বাহী পরিচালক অধ্যক্ষ শেখ ইউসুফ লিটন, কবি শামসুল ফয়েজ, ফোরাম অন ইকোলজির সদস্যসচিব তুহিন তালুকদার, নাট্যকার আবুল মনসুর, টিআইবি প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান, আব্দুর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি দেলোয়ার খান, এএসপিএস নির্বাহী পরিচালক মুস্তাসিব বিল্লাহ, ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের নেতা আনারুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, ওয়েপ প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, অগ্রদূত সমাজ উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি আনিসুর রহমান, আইইডির ব্যবস্থাপক নূরুন্নাহার, ফোরাম অন ইকোলজির সদস্য বাদল চক্রবর্তী, জাগরণ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কে এম এ জামি, ব্রহ্মপুত্র নদীপাড়ের বাসিন্দা মো. ওয়াহেদ আলী,  নদী বাঁচাও আন্দোলন জামালপুর জেলা প্রতিনিধি রুবি, নাগরিক রাকিব হোসেন, আরিফুল হাসানসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

ওবায়দুর রহমান/

মন্তব্য করুন: